কি লগার - M. A. Salam Sabbir

Learn and Earn

Breaking

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯

কি লগার


আজকে বলবো কি লগার সম্নধে।।
ধরুন আপনি সাইবার ক্যাফেতে ব্রাউজিং করছেন যেই পিসিতে বসে আপনি ব্রাউজিং করছেন তাতে কেউ পূর্বেই কি-লগার ইনস্টল করে রেখে গেছে। এখন ধরুন আপনি ফেইসবুকে এ গেলেন এবং ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড প্রদান করলেন । তৎক্ষনাত কি লগার টি আপনি যা যা টাইপ করেছিলেন সব রেকর্ড করে ফেলছে । ভয়ংকর ব্যাপার !!!!!
কি লগার হচ্ছে এমন একটি প্রোগ্রাম যেটি আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল করা থাকলে আপনি কি-বোর্ডে কি’ গুলো প্রেস করে কম্পিউটারে যা যা লিখছেন তা সেই প্রোগ্রামটি সংরক্ষন করে রাখবে আপনার অজান্তে কি লগার হচ্ছে।
কি-লগার গুলোতে স্ক্রিনশট ফাংশনালিটি রয়েছে যার মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে বা নির্দিষ্ট সময় পরপর কি-লগারটি ডেক্সটপের স্ক্রিনশট তুলে রাখে ফলে হ্যাকার এটিও জানতে পারবে আপনি ডেক্সটপে কি কাজ করছিলেন ,কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন , ইউজারনেম বক্সে কি লেখা আছে , পাসওয়ার্ড এর ঘরে কালো বিন্দু গুলোর সংখ্যা কয়টি ( যা পরবর্তীতে লগ হতে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড কে আলাদা ভাবে বুঝতে সহায়তা করে)
কি-লগার এমন একটি প্রোগ্রাম যা আপনার কম্পিউটারে বসে আপনার প্রতিটা কি-ষ্ট্রোক সংরক্ষন করে।তা কোন একটি এফ.টি.পি.(ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল) বা ই- মেইলে পাঠিয়ে দিবে। তার ফলে আপনার টাইপ করা সকল পাসওয়ার্ড ও গোপনীয় তথ্য অন্য কারো কাছে ফাস হয়ে যেতে পারে। আজকাল ছোট থেকে শুরু করে বড় পর্যন্ত বেশিরভাগ হ্যাকাররাই এই প্রোগ্রামটি ব্যবহার করে। যদি আপনার ফেইসবুক, ইয়াহু, জি-মেইল বা অন্যান্য এ্যাকাউন্ট যদি হ্যাক হয়ে থাকে তাহলে তা কি-লগার দ্বারাই বেশির ভাগ সময় হয়ে থাকে।কি-লগারের তৈরি হয়, ভাল কাজের জন্যই শুরু হয়। পরে তার অপব্যবহার করা শুরু হয়।পরিবারে বাচ্চারা যাতে নষ্ট না হয়,তাই কি-লগার কম্পিউটারে ইন্সটল করে মাতা-পিতারা তাদের সন্তানদের সকল কাজের ওপর নজর রাখতেন আবার,অনেক সময়,অফিসের মালিক তার কর্মচারীদের ওপর নজর রাখতে কম্পিউটারে কি-লগার লাগিয়ে রেখে দেন। তার ফলে কর্মচারীরা কাজের বাহিরে অন্যান্য কাজ থেকে বিরত থাকতো।এখন কি-লগার অনেক বিপদজনক হয়ে গেছে। অনেক পে-পেল এ্যাকাউন্ট,ইয়াহু এ্যাকাউন্ট,ফেইসবুক এ্যাকাউন্ট ,ব্যাংক এ্যাকাউন্ট,
ইত্যাদি হ্যাক হচ্ছে শুধু এই কি-লগার দ্বারাই।
কি-লগার থেকে বেচে থাকা কিভাবে সম্ভব?
১. কি-লগার বিশেষ করে কি-বোর্ডে টাইপ করা সবকিছু সংরক্ষন করে। কেননা আমরা কি-বোর্ডে আমরা আমাদের পাসওয়ার্ড টাইপই না করি?আমরা চাইলে উইন্ডোজের
অন-স্ক্রিন কি-বোর্ড ব্যবহার করতে পারি।তা দিয়ে আমাদের পাসওয়ার্ড আমরা টাইপ করলে বেশির ভাগ সময় কি-লগার ধরতে পারে না।স্টার্টে গিয়ে রান-এ ঢুকে আপনি "osk"কমান্ডটি লিখলেই অনস্ক্রিন কি-বোর্ড চলে আসবে(উইন্ডোজে)।
২. কি-লগার কি-বোর্ডে চাপা প্রতিটি কি-ষ্ট্রোক ধরে ফেলে। কিন্তু আমরা চাইলে এ্যান্টি-কিলগার নামের একটি প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারি যা দিয়ে আমাদের কি-ষ্ট্রোক এনক্রিপ্টেড হয়ে যাবে এবং কি-লগার তা আর ধরতে পারবেনা। বিভিন্ন
এ্যান্টি-কিলগারের মধ্যে আমার প্রিয় হচ্ছে কি-স্ক্র্যাম্বলার( www.qfxsoftware.com )।
৩. ইন্টারনেটে অনেক হ্যাকিং সফ্টওয়্যার ডাউনলোডের সময় লেখা থাকে যে আপনি আপনার ভাইরাস স্ক্যান বন্ধ করতে হবে।এই ভুল ভুলেও করবেন না। আপনার ভাইরাস স্ক্যান সবসময়ে আপডেটেড রাখবেন ও কখনো বন্ধ করবেন না। যদি কিছু ডাউনলোড করার সময় ভাইরাস স্ক্যান তা বন্ধ করতে চায় তাহলে নিশ্চিন্ত হয়ে ডাউনলোডটি বন্ধ করে দিবেন।
৪. অনেক সময় ভাইরাস-স্ক্যানও কি- লগার ধরতে পারেনা। এর জন্য আপনি সবসময়ই কোন একটি এ্যান্টি-স্পাই সফ্টওয়্যার ইন্সটল করে রাখবেন।
৫. ইন্টারনেট থেকে কখনো কোন হ্যাকিং সফ্টওয়্যার ফ্রিতে ডাউনলোড করবেন না কারন বেশির ভাগ সময়ই সেগুলোতে কি-লগার বাইন্ড করা থাকে।
 আমি সিকিউর থাকতে পারি,, যার মাধ্যমে কেউ আমায় ল্যাপটপ মোবাইল হ্যাক করতে না পারে,
 সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ভিপিএন ইউস করতে পারেন এবং একই সাথে ম্যাক এড্রেসও চেঞ্জ করতে পারেন এবং ব্রাউজার হিসেবে টর ইউস করতে পারেন


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Pages